অযোধ্যার কালোরাত : বাবরি মসজিদ ধ্বংসের গোপন ইতিহাস – লেখক কৃষ্ণ ঝা, ধীরেন্দ্র কে ঝা | Ojoddhar Kalorat

‘অযোধ্যার কালোরাত’ এর অনুবাদকের অনুভূতি —

আলহামদুলিল্লাহ…
আমার প্রথম কাগুজে সন্তান…

এটা শুধু একটা বই না। আমার নিজের জন্য এবং পাঠকদের জন্য বইটা অনেককিছু। প্রথমে আসি নিজের কথায়। একজন অনুবাদক হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বই দিয়ে আমার অভিষেক হয়েছে,এটা নিজেই অনেক বড় একটা বিষয়। চারজন অনুবাদকের হাত ঘুরে শেষমেষ ঠাঁই পেলো আমার হাতে। হয়তো একেই বলে রিযিক, একেই বলে ভাগ্য। অনুবাদের বিচারটা পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। 
যদিও একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। প্রত্যেকটি পেশায় একগোষ্ঠী মানুষ থাকেন যারা পেছন থেকে বা আড়ালে থেকে প্রচুর পরিশ্রম করেন কিন্তু তাদের পরিচয় বা শ্রম কখনও সামনে আসে না। অথচ, একেকটা কাজের সাফল্যের অনেকাংশের ভাগীদার তারাও। গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক – রাজনৈতিক বইটি অনুবাদের পর একাধিকবার চেকিং রিচেকিং হয়েছে। আমার বইটার সম্পাদক প্রচুর শ্রম দিয়েছেন বইটি আপনাদের জন্য পশ করে তুলতে। বইয়ে উল্লেখিত সনাতন ধর্মের বিষয়গুলো এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখতে হয়েছে সময় নিয়ে। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ বইয়ের সম্পাদকের প্রতি।
ছোটবেলা থেকে বাবরি মসজিদ এবং বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দাঙ্গা নিয়ে শুনে আসছি। কিন্তু বইটির কাজ করতে গিয়ে অনেক বেশি কিছুই জানলাম,যা আসলেই সচেতন প্রত্যেকটি মানুষের জানা উচিত বলে মনে করছি। যখন বইটা অনুবাদ করছিলাম তখন মনে হয়েছিল সেসব ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে আমি নিজেই ভ্রমণ করছি। ১৯৪৯ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যে রাজনৈতিক কূটচাল ছিলো অবাক হচ্ছিলাম তার পোক্ত প্রমাণ দেখে। সত্যি বলতে অনেক উপভোগ করেছি কাজটা,কিন্তু কিছু জায়গায় চরম বিরক্তির উদ্রেগও হচ্ছিলো। আর সেটা হচ্ছিলো মূল লেখকের লৈখিক দক্ষতার কারণে। 
আশা করি বইটি আপনারা সাদরে গ্রহণ করবেন। এই বইটি আসলেই সকলের জন্য পড়া জরুরী।
 আপনাদের আগ্রহই আমাকে একজন অনুবাদক হিসেবে এগিয়ে যেতে প্রেষণা দেবে। আর Red Publication কে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
 সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী…
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?