উপন্যাসটির কাহিনী শুরু হয় ইতালিতে। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জামশেদ। জামশেদ হলো তেমন একটা চরিত্র যে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কাজ করে না, বরং ভালোবেসে কাজটা করে। জামশেদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। এরকম একটা চরিত্র আমরা কল্পনা করে থাকি। লেখক আমাদের কল্পনাকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন এই চরিত্রের মাধ্যমে। এই উপন্যাসে লেখক এতরার মতো কিছু মানুষ রুপী পশুর চিত্রও আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যারা আমাদের সকলের সামনেই ভালো মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। ছোট্ট অ্যানির চরিত্রে লেখক নিঃসঙ্গ একটি মেয়েকে দেখিয়েছেন। যে নিজের অজান্তেই এক ভয়ংকর প্ল্যানের শিকার হয়ে যায়।একজন মাঝবয়সী বডিগার্ড জামশেদের সাথে বাচ্চা মেয়ে অ্যানির বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের পরিচয় দিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসে। আর এই বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা এতই প্রগাঢ় ছিলো যে জামশেদ অ্যানির জন্য নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করে না। সর্বদা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা মহিলার মধ্যেও যে গভীর মমতা লুকিয়ে থাকে তা রুনের চরিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।টাকার অভাবে নিজের মেয়ে অ্যানিকে কিডন্যাপের মত এক জঘন্য প্ল্যানে রাজি হওয়া অসহায় বাবার চরিত্র দ্বারা তুলে ধরেছেন ভিকিকে। কিন্তু কি হলো শেষে? ভিকি কি টাকাটা পেল?অ্যানির সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনাটা কি? জামশেদের জীবনই বা কেন মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়লো?রুনের মমতা কিভাবে প্রকাশ পেল? আর এতরার মত পশুদের কি শাস্তি হলো?জানতে হলে ‘অমানুষ’ বইটি পড়তেই হবে।