অক্টারিন – তানজীম রহমান | Octarine – Tanjim Rahman

 অক্টারিন

লেখকঃ তানজীম রহমান

প্রকাশনীঃ বাতিঘরজ

জনরাঃহরর/মিস্ট্রি

কাহিনী সংক্ষেপঃ মুমিনুল ইসলামের ওপর আচমকাই এক দায়িত্ব এসে পড়ে। এক ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে, যে নাকি দীর্ঘদিন ধরে পজেস্ট হয়ে আছে। আয়েশা, বয়স খুব বেশী একটা না। তবে মমিনুল ইসলাম ওরফে মুমিনের কোন ধারণাই নেই এইসব কাজে তার কি সাহায্য কাজে আসতে পারে। আয়েশার মা জাহানারা জানালেন আয়েশাকে সম্ভবত কেউ বাণ মেরেছে। এবং এই কাজে তাকে সাহায্য করতে হবে। যদিও মুমিন এইসবে পারদর্শী ছিল না, তবে অনেকটা বাধ্য হয়েই এই কেইসে জড়িয়ে পড়ে।

ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। আয়েশার এই পরিস্থিতিতে মুমিনকে সাহায্য নিতে হয় এক তরুণীর। শখে ম্যাজিক শিখে থাকলেও নিজেকে বোধহয় ম্যাজিশিয়ান বলে পরিচয় দিতে ততোটা পছন্দ করেন না। মুমিন একদিন আয়েশাকে দেখাতে তাদের বাড়িতে নিয়ে সেই তরুণীকে, নাম অ্যানিমা। অ্যানিমা এসে বুঝতে পারে আয়েশার সাথে যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক না। এটা চলতে থাকলে আয়েশা সহ তার পুরো পরিবারের ওপর নেমে আসবে কালো অধ্যায়। এবং ম্যাজিকের প্রতি তীব্র নেশা থাকা এই তরুণী মুমিনকে সাহায্য করতে এক পায়ে রাজী হয়ে যায় এবং ঘটনার শুরু সেখান থেকেই!

একে একে পরিবর্তন ঘটতে লাগলো সবকিছুর। রহস্যের জট আরো প্যাচাতে লাগলো। এদিকে সময় যায়, আয়েশার অবস্থা আরো শোচনীয় হতে থাকলে আয়েশার ভাই জিহাদ মুমিনকে এক প্রকার শাসিয়ে আসে, যেনো তার বোনকে এক সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক করে দেয়া হয়। কিন্তু কীভাবে? আয়েশার এই রহস্যের শুরু কোত্থেকে?

রহস্যের জট খুলতে সাহায্য করেন অ্যানিমা। মুমিনকে নিয়ে শুরু করেন অদ্ভুত সব কর্মকান্ড, অদ্ভুত সব এক্সপেরিমেন্ট। তবে এতে কিন্তু আয়েশার অবস্থা ভালো হচ্ছিলো না, বরং এক প্রকার ভয়ংক জ্বীনের ফাঁদে আটকে যাচ্ছিলো সবাই। এই ফাঁদ থেকে কীভাবে বের হয়ে আসবে সবাই? আয়েশা কি আসলেই বেঁচে গিয়েছিলো?

তানজীম রহমানের কোন বই আগে পড়া হয়নি। এইবার বইমেলা থেকে বইটা কিনে গোগ্রাসে গিলতে শুরু করি। বইয়ের কাহিনী যথেষ্ট ভালো লেগেছে, তবে কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে লেখক বাড়িয়ে লিখেনে। মেদযুক্ত মনে হয়েছে। হয়তো পড়তে ভালো লাগায় গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে আসায় তাড়াহুড়ার করে পড়ার জন্য এমনটা মনে হয়েছে। তবে সারাজীবন হরর জনরা ভালোবেসে আসা আমার মোটেও বিরক্ত লাগেনি, বরং লেখকের বাকী বইগুলো পড়ার আগ্রহ জন্মেছে। যারা হরর/মিস্ট্রি জনরা পছন্দ করেন নিশ্চিন্তে পড়ে ফেলতে পারেন।

বইয়ের সবচেয়ে চমৎকার যে বিষয়টি ছিলো সেটি হচ্ছে, বইয়ের প্রত্যেকটা অধ্যায়কে লেখক একটা সময়ের ভেতর রুটিন করে দিয়েছিলো এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি সেই সময় ধরেই পড়ার চেষ্টা করেছি।

পজেশন মিস্ট্রির এই বইটি অসম্ভব রকমের রহস্যের জগতে নিয়ে যাবে এর কোন সন্দেহ নেই!

Personal rating: 8/10

Happy Reading 🍁

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?