ইবনে সিনার মত অনেকের হাত ধরে মুসলিম সাম্রাজ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেই সময়ের সর্বোচ্চ শিখরে উঠে সেটি আবার মুখ থুবড়ে পড়ে অটোমান সাম্রাজ্যসহ অন্যান্য রাষ্ট্রিয় শক্তির হাতে। ভুলভাল হাদিস, তাফসির, ফিকাহ এসব ত্বরান্বিত করে এবং ফতোয়া আসে শরীর ব্যবচ্ছেদ হারাম। যাহোক, ধর্মীয় দর্শণের মূল দূর্বলতা হলো জনমানুষ এগুলোর কোট আনকোট মর্মার্থ হাতে পৌছায় না বা তারা এর গভীরে পৌছাতে পারে না। বরংচ নান মুনী গুরু ঋষী মোল্লা মুরুব্বিদের নানামুখী ব্যাখ্যায় পড়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। প্রচলিত ধর্ম পালন করেও ধর্মের প্রকৃত শিক্ষার আশেপাশেই যেতে পারে না। তদাপি দর্শন বা ধর্মের এ টেক্সটগুলো সুন্দর পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো তৈরি করেছে। একটা উদাহরণ দেই, ইসলামী টেক্সটগুলোয় শিক্ষকদের খুব সম্মান দেয়া হয়েছে। উপনিষদ পরবর্তী সময়ে গুরুগৃহের শিক্ষক প্রায় ভগবান সমতুল্য। তারা ভুলভাল করলেও মেনে না নেয়া পাপ হিসেবে দেখান হয়েছে। এগুলো আমাদের সমাজে নানাভাবে প্রভাব ফেলেছে।