Poll Results
Participate in Poll, Choose Your Answer.
আপনি বই কেন পড়েন?
উত্তরে আমি বলি বিনোদন পেতে,নতুন কিছু জানতে (সেটা হোক ইতিহাস বা প্রযুক্তি বা যেকোনো কিছু) আবার বলা যায় অবসরে একজন লেখকের সৃষ্টি করা কাল্পনিক কিছু চরিত্রের দেখা পেতে।
মোটামুটি আমার কাছে বই পড়া মানে এটাই।
কিন্তু আজকাল এই বই পড়াকে কিছু পাঠক মাঝে মাঝে একটু অন্য লেভেলে নিয়ে যায় যেটা দেখে মনেহয় সে বই পড়েনি রীতিমতো বই নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণা বা খুটিনাটি বিশ্লেষণ একজন পাঠক করতেই পারেন কিন্তু এই গবেষণার খাতিরে পাঠক মাঝেমধ্যে রিভিউতে বই সম্পর্কে নূন্যতম ধারণাটুকুই দেননা। যার ফলে একটা রিভিউ আগামাথা পড়ার পর মনেহয় এর থেকে হয়ত বইটা পড়ে নিলেই ভালো হত।
শুধু যে এটাই তা নয় অনুবাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়। ধরুন একজন অনুবাদক একটা বই অনুবাদ করলেন। কাদের জন্য করলেন? এইযে আমার মত পাঠকদের জন্যই ত নাকি? অরিজিনাল ইংরেজি বইটা থেকে অনুবাদটা আমাদের কাছে সহজ লাগে সেজন্যই ত। এমন না যে ইংরেজি বুঝিই না। বাংলায় পড়তে বেশ ভালো লাগে আর যদি একেবারে বাংলা এডাপটেশন হয় তবে ত কথাই নেই। এখন কিছু পাঠক ইংরেজি সেই বইটা পড়েছেন তিনি আবার অনুবাদ করা বইটা পড়বেন এবং পড়ার পর খুব চাচাছোলা রিভিউ দেবেন যে অনুবাদক হুবহু অনুবাদ করেনি,এইখানে এটার বদলে এটা লিখলে ভালো হতো,ওখানে ওটার বদলে ওটা লিখতে পারতেন এমন। অথচ দেখুন সেই অনুবাদটা পড়েই কিন্তু অনেক পাঠকের ভালো লেগেছে এবং তারা সেই ইংরেজি বইটা বুঝতে পেরেছেন এবং উপভোগ করেছেন। এইযে ‘উপভোগ’ লিখলাম এটাই মেইন পয়েন্ট আপনি অনুবাদ পড়ে বইটা উপভোগ করেছেন অন্যজন হয়ত মেইন ইংরেজি বইটা পড়ে উপভোগ করেছেন। তাহলে সেই ইংরেজিটা যিনি পড়লেন তার কি উচিত যারা অনুবাদটা পড়লে বইটা উপভোগ করতে পারবে তাদের বিভ্রান্ত করা?
হ্যাঁ অনুবাদের ক্ষেত্রে একজন পাঠক মতামত দিতে পারেন যে অনুবাদের কোথায় একটু কঠিন লেগেছে বা কেন লেগেছে কিন্তু আজকাল মাঝে মাঝে অনেকে অনুবাদককে পাঠক রিভিউতে এমনভবে লাইন বাই লাইম ধরে ধরে ধোলাই করেন যেন মনেহয় সেই অনুবাদক একেবারেই ব’কলম। এক্ষেত্রে কিহয়? সেই অনুবাদককে তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার ছলে আমরা বই আর অনুবাদ না করতে উৎসাহ দিয়ে ফেলি। অথচ দেখুন একটা বই অনুবাদ করতে কিন্তু যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয় এটা আমরা সবাই কমবেশি জানি।
অনুবাদ গেলো যাক এবার আসি সম্পাদনায়। এইখানে মোটামুটি এখন দেশের প্রায় অনেক প্রকাশনীই দুর্বল। কদিন আগে বাতিঘর প্রকাশনীর একটা থ্রিলার বই শুরু করেছিলাম মাত্র দু পৃষ্ঠা পড়ে আর এগোতে পারিনি। মনে হয়েছে সম্পাদনাই করা হয়নি বইটা। মানে লেখক বোঝাতে চাচ্ছেন এক কিন্তু বইতে বাক্যগঠন এমন যে আমি বুঝছি আরেক। যাক বইয়ের নাম বলতে চাচ্ছিনা।
এখন অনেক প্রকাশনীই এই সম্পাদনা থেকে বেশি নজর দিচ্ছে প্রচ্ছদে। ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচ্ছদ হচ্ছে,কড়া কড়া নামলিপি হচ্ছে যেটা দেখে বোঝার উপায়ই নেই আসলে বইয়ের নামটা কি? কিন্তু ভেতরে যাচ্ছেনাতাই অবস্থা। সেসব দেখে সবাই প্রি অর্ডার করছে অথচ বই পাওয়ার পর তাদের মুখ শুকিয়ে আমচুর হচ্ছে ভেতরে বানানের বেহাল অবস্থা দেখে। অথচ দেখুন প্রি অর্ডারকারী অনেকেই কিন্তু স্টুডেন্ট তারা এই প্রচ্ছদের লোভে লোভে প্রি অর্ডার করছে।
আবার কিছু পাঠক আছেন সম্পাদনা খারাপ হোক বা বই তার কাছে ভালো না লাগুগ সে কোনো এক পোস্টের কমেন্টে গিয়ে বলবেন “অমুক বইটা ভালো লাগেনি, বিস্তারিত রিভিউ দিব শীঘ্রই”। মানে আমরা তখন বুঝে যাই একটা গবেষণা করা রিভিউ আসতে চলেছে শীঘ্রই।
অনেক লেখক আছেন যাদের মূল টার্গেট থাকে উঠতি বয়সের নতুন পাঠক/পাঠিকা। তারা জানেন যে এই পাঠক/পাঠিকারা নতুন তারা বানান বা লেখনশৈলী যতই বাজে হোক ধরতে পারবেনা যার জন্য তাদের দিয়ে লেখক তার বইয়ের প্রচার কাজটা চালিয়ে নেন। আবার সেসব উঠতি বয়সের পাঠক/পাঠিকারা যখন দেখেন লেখক বা লেখিকা গিফট পাঠাচ্ছেন তখন তিনিও গলে যান যেখানে আসলে তাদের দোষ দেওয়া যায়না দোষ অনেকটা গিয়ে পড়ে লেখক বা লেখিকার উপর।
এটার জন্য কি হয়? লেখক আর অনুবাদকদের সাথে পাঠকদের মধ্যে একটা কাদা ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। অথচ হিসাব করে দেখুন আজ থেকে বছর চারেক আগে কিন্তু এসব তেমন ছিলোনা। পাঠকের মাধ্যমে পাঠক তৈরী হওয়া আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। এখন যেগুলো চোখে পড়ে বেশিরভাগের মধ্যেই কারো না কারো স্বার্থ জড়িত যেকারণে আপনি না চাইতেও আপনার বেশ কিছু শত্রু হয়ে যাচ্ছে ভার্চুয়াল লাইফেই। ভালো একটা বই দিনের পর দিন পড়ে থাকে প্রথম এডিশন শেষ হতেই বছর চলে যায় অন্যদিকে বেস্টসেলার হয় অন্য বই।
দেখুন শুরু করেছিলাম বই কেন পড়ি দিয়ে আর কত কথা বলে ফেললাম। আশা করি যা বলেছি কোনোটাই অপ্রাসঙ্গিক বলিনি যদি ভুল বলে থাকি অবশ্যই শুধরে দিবেন। বইপাড়া আবার আগের চেহারা ফিরে পাক সেই কামনায়। – khondoker sanidullah sanid।
#কমেন্টে আপনার বই পড়ার কিছু কারণ মন্তব্য করুন।
আমার মতে, খাবার যেমন দেহের খোরাক ঠিক তেমনি বই হল মানুষের অন্তরের খোরাক। এছাড়াও একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে বই পড়ার বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।
আমার মতে, খাবার যেমন দেহের খোরাক ঠিক তেমনি বই হল মানুষের অন্তরের খোরাক। এছাড়াও একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে বই পড়ার বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।
See lessদুনিয়াতে যতগুলো বস্তু আছে তার মধ্যে আমার কাছে সবচাইতে প্রিয় বস্তু বই। আমি বই পড়তে অনেক ভালোবাসি। বইয়ের থেকে জীবনে অনেক কিছু শিখেছি এখনো অনেক কিছুই শেখার বাকি।
দুনিয়াতে যতগুলো বস্তু আছে তার মধ্যে আমার কাছে সবচাইতে প্রিয় বস্তু বই। আমি বই পড়তে অনেক ভালোবাসি। বইয়ের থেকে জীবনে অনেক কিছু শিখেছি এখনো অনেক কিছুই শেখার বাকি।
See less