দুইদিন ধরে এই বইটা পড়তে পড়তে প্রায় ১৫/২০ বার ঠা ঠা করে হেসে উঠলাম। ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত বইটিতে মহাকাব্য মহাভারতের আদলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী ৩০ বছর দেখানো হয়েছে। বাংলা অনুবাদে পড়লাম এবং স্যাটায়ারটি খুবই চমৎকার লাগলো। এখানে মহাত্মা গান্ধী হচ্ছেন ...Read more
দুইদিন ধরে এই বইটা পড়তে পড়তে প্রায় ১৫/২০ বার ঠা ঠা করে হেসে উঠলাম। ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত বইটিতে মহাকাব্য মহাভারতের আদলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী ৩০ বছর দেখানো হয়েছে।
বাংলা অনুবাদে পড়লাম এবং স্যাটায়ারটি খুবই চমৎকার লাগলো।
এখানে মহাত্মা গান্ধী হচ্ছেন ভীষ্ম, নেহেরু হচ্ছেন ধৃতরাষ্ট্র, সুভাষ বোস হচ্ছেন পান্ডু, বল্লভ ভাই প্যাটেল হচ্ছেন বিদুর। এভাবে একের পর এক চরিত্রকে আধুনিক মহাকাব্যের আদলে অদ্ভুতভাবে মানিয়ে নিয়ে প্রেজেন্ট করেছেন লেখক। সেই সঙ্গে আছে বৃটেনের তল্পিতল্পাধারীরা।
এখানে কর্ণ হচ্ছেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। পান্ডবের পরিবার আছে, কৌরবদের পরিবার আছে, কৃষ্ণ পর্যন্ত আছেন কিন্তু কৌরবদের শত পুত্রের বদলে আছেন তাদের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কন্যা দূর্যোধনী, যিনি আদতে ইন্দিরা গান্ধী।
মহাভারত প্রেমী এবং সেই সাথে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে যারা কিছুটা লেখা পড়েছেন তাদের প্রত্যেকের ভালোলাগার কথা।
এবং স্যাটায়ার হলেও এটা খুবই সাহসী একটা লেখা। সেই সাথে ইতিহাস অস্তিত্ব চরিত্রগুলোকে অদ্ভুত সূক্ষ্ম সব উপমা এবং ঘটনা তুলে বেশ পচানো হয়েছে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দ্রৌপদীর পরিচয় একেবারে যথার্থ-
( ১৯৮৯ সালের লেখক শশী থারুরের সাথে পরবর্তীতে ওনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তি থারুরকে না মেলানোয় ভালো)
বইটির লিঙ্ক- PDF Download
Read less
আবার মহাভারত খুবই চমৎকার ও ঐতিহাসিক একটি বই।
আবার মহাভারত খুবই চমৎকার ও ঐতিহাসিক একটি বই।
See less