Mayer Neel Shari (মায়ের নীল শাড়ি) by Nahid Ahsan

বইঃ মায়ের নীল শাড়ি
লেখকঃ নাহিদ আহসান
প্রকাশনীঃ পুস্তক প্রকাশক
প্রথম প্রকাশঃ ১৪/০১/২০২১
প্রচ্ছদঃ সাহাদাত হোসাইন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৮০
মলাট মূল্যঃ ২০০ টাকা
মাহমুদা পারভীন(REVIEW CREDIT)

বইটিতে মোট গল্প আছে ১১ টি ——
১. বিকেলবেলার গল্প – ০৯ পৃষ্ঠা
২. জুতাচোর -১৫ পৃষ্ঠা
৩. পাঁচ টাকার পুতুল -২১ পৃষ্ঠা
৪. মায়ের গল্প – ২৮ পৃষ্ঠা
৫. মায়ের নীল শাড়ি – ৪৩ পৃষ্ঠা
৬. সারপ্রাইজ – ৫০ পৃষ্ঠা
৭. বিনীতা ঘুমোচ্ছে – ৫৫ পৃষ্ঠা
৮. একটি স্মরণীয় রাত – ৫৮ পৃষ্ঠা
৯. অপেক্ষা – ৬৪ পৃষ্ঠা
১০.ষড়যন্ত্র – ৬৮ পৃষ্ঠা
১১. শূন্যতা – ৭৬ পৃষ্ঠা
প্রচ্ছদঃ
প্রচ্ছদটিতে প্রথমে চোখে পড়বে নীল শাড়ি পড়নে এক মা হাতে একটি বই ও একটি ব্যাগ হাতে হাঁটছে। আর পুরো প্রচ্ছদ জুড়ে পাখির পালক উড়ে উড়ে পড়ছে যা অন্য রকম সৌন্দর্য বহন করছে।
উৎসর্গঃ
বইটি হাতে পাওয়ার পর যখন কেউ উৎসর্গ পড়বে তখন তার চোখ আটকে যাবে এবং না চাইলেও চোখের জল চলে আসবে। আমার অন্তত তাই হয়েছে।
লেখক এর সম্পর্কে কিছু কথাঃ
লেখক নাহিদ আহসান ঢাকা জেলার মিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন।তার লেখা প্রথম গল্পগ্যন্থ ” মায়ের নীল শাড়ি “। তার আগে ২০১৭ সালে একটি গল্পগুচ্ছে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল, কবে তার নিজের একটি গল্প বের হবে অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। লেখক গল্প বলতেও গল্প লিখতে ভালোবাসে তাই তার স্বপ্ন পূরণ হলো।
মায়ের নীল শাড়ি বই সম্পর্কে কিছু কথাঃ
আবেগ,অনুভূতি, প্রত্যাশা, কল্পনা, স্বপ্ন বিভিন্ন বিষয় ফুটে উঠেছে এক একটি গল্প।কোন গল্পে গিয়ে হঠাৎ করেই থেমে যেতে হবে চুপ হয়ে যেতে হবে আবার কোন গল্পে এসে শান্তির নিশ্বাস ছাড়বে। কোন কোন গল্প হৃদয়ে আঘাত করবে, তবে গল্পের শেষটা শেষ করে মনটা বড্ড খারাপ হয়েছে এই ভেবে গল্পগুলো এতটা ভাল লাগল এত তাড়াতাড়ি কেন শেষ হলো এই ভেবে।
ব্যক্তিগতভাবে সবকয়টি গল্প আমার ভাল লেগেছে তবে আমি চারটি গল্প নিয়ে ছোট্ট করে কিছু তুলে ধরলাম।
মায়ের নীল শাড়িঃ
মায়ের নীল শাড়ি গল্পে একটি সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে পাওয়া যায়।একবার ঈদের কিছুদিন আগে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলো আড্ডার নানা বিষয় কথা হচ্ছিল তার মধ্যে সাকিব নামের এক বন্ধু চুপ ছিলো সাকিব হঠাৎ বলে ওঠে সে একটা জায়গায় সবাইকে নিয়ে যাবে তবে কিছু শর্ত আচ্ছে সেই জায়গায় যেতে। শর্ত ছিলো সবাই তিনশো টাকা দিতে হবে। সবাই সেই শর্তে রাজি হলো এবং ঈদের আগের দিন সেখানে গেলো। কিন্তু কি ছিলো সেই জায়গায় কেনো গিয়েছিলো তারা সেখানে জানতে হলে গল্পটি পড়তে হবে। আমি তো শেষটা পড়ে আর পরের গল্পে যেতে পারিনাই। বন্ধ করে চুপ করে ছিলাম।
সারপ্রাইজঃ
আবীর মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে টিউশনি করে কম্পিউটার এ কি সব ডিজাইন করে কিছু টাকা পায়। তা দিয়ে তার প্রেমিকার জন্য কিছু করতে চায় সব সময় পারেনা কিন্তু তার জন্মদিন এর জন্য বিশাল সারপ্রাইজ দিবে বলে ভেবে রেখেছে কিন্তু সেই সারপ্রাইজ কি আদো দিতে পেরেছিলো?কি হয়েছিলো সে দিন?
অপেক্ষাঃ
কারোজন্য অপেক্ষা করে থাকাটা কত কষ্টের তা মূলত সবাই বুঝি। কিন্তু যখন সেই অপেক্ষা শুধুই অপেক্ষা হয় তখন কতজন এই বা অপেক্ষায় থাকতে পারে।
শূন্যতাঃ
একজন জীবন সঙ্গী কে কতটা ভালোবাসে তারজন্য কি কি পাগলামি করা যায় এই গল্পে তাই প্রকাশ পেয়েছে।
প্রিয় লাইনঃ
“আক্ষেপগুলো বেঁচে থাকুক,নিয়ে ব্যাথা
জীবনভর গল্প বলে যাব,দিলাম কথা।”
বইটির ব্যাক্তিগত রেটিং : ৯.৫/১০
বইটির শেষ লিখাঃ
“নৌকায় বসা জেলের মন খারাপ
নদীতে মাছ নেই, ডাঙায় কাজ নেই,
রাস্তায় একা আমি, অচেনা পথচারী সব
জীবনে সুখ নেই, সুখ নেই।”
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?