বইয়ের নামঃ কর্পোরেট লিডারশীপ
লেখকঃ তৌফিকুর রহমান।
প্রকাশনীঃ ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০/=
প্রথম প্রকাশঃ অক্টোবর ২০২০
লিডারশীপ নিয়ে খুব বেশি বই পড়া হয়নি আমার। কাজেই কোনো প্রকার আইডিয়া ছিলো না কেমন হবে। কিন্তু বইটা পড়ার পর মনে হলো যে, এই বিষয়ে অনেক কিছুই অজানা ছিলো এতদিন, জানতে পারলাম।
বইটিতে লেখক নেতার সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে, “যিনি কোনো দলকে সংঘবদ্ধ করে, টেকসই (সাসটেইনেবল) প্রক্রিয়ায়, মূল্যবোধ সহকারে কোনো নির্দিষ্ট ভিশনে পৌছায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তিনিই নেতা।”
এরপর বইটিতে ডেভিড ম্যাকলেল্যান্ডের ‘এক্সপেন্টেন্সি ভ্যালু থিওরি’ এর কথা বলা হয়েছে। এটা আমি যেরকম বুঝেছি নিজের ভাষায় লিখছি।
ধরুন, আপনি এমন কোনো কাজ করছেন যার ফলে আপনার মানসিক প্রশান্তি আসে, যেমনঃ কোনো স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে অন্যের উপকার করা, কারো সাহায্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে আসা ইত্যাদি কাজের জন্যে যে মোটিভেটর কাজ করে তার নাম নিড ফর একমপ্লিশমেন্ট।
এরপর ধরা যাক, আপনি কোনো একটা কাজ করছেন, মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য, কোনো সম্মান পাওয়ার জন্য কিংবা একটা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার জন্য। মোদ্দাকথা, সবার চোখে নিজের একটা পজিশন ক্রিয়েট করার জন্যে আপনার কার্যাবলীর পিছনে যে মোটিভেটর কাজ করে তার নাম নিড ফর এফিলিয়েশন।
এবং ফাইনালি, নিড ফর পাওয়ার যারা নিজেরা নেতা হতে চান কিংবা নেতৃত্ব দিতে চান। তাদের কাছে বেতনের চেয়ে পদবি কিংবা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর বইটিতে লিডারশীপের বিভিন্ন স্টাইলের কথা বলা হয়েছে বইটিতে। যেমনঃ অটোক্রেটিক, এফিলিয়েটিভ, পারটিসিপেটিভ, ট্রানজেকশনাল, ট্রান্সফরমেশনাল, কোচিং, লেইজি ফেরি। প্রত্যেকটির উদাহরণ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন লেখক। তাছাড়াও সেল্ফ লিডারশীপ নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে বইটিতে।
নাহ! বইটি নিয়ে আর বেশি কিছু বলা চলে না। আরো অনেক কিছু রয়েছে বইটিতে যেগুলো বললে রিভিউ হয়ে যাবে বিশাল বড় আর পড়ার আগ্রহ ও হারিয়ে ফেলবেন। কাজেই আপনার লিডারশীপ নিয়ে আগ্রহ থাকলে কিংবা কোনো কিছুতে নিজেকে নেতৃত্বের অবস্থানে তৈরী করতে চাইলে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি! কারণ বইটিতে আপনি পাবেন লিডারশীপ সংক্রান্ত অনেক কিছু যেগুলো হয়তো এতদিন আপনার অজানা ছিলো।
লেখক পরিচিতি___________________________________
তৌফিকুর রহমান
তৌফিকুর রহমান জন্ম : মার্চ ১৯৭১, জন্মস্থান : ঢাকা স্কুল জীবনেই কবিতা আর ছােটগল্প লেখায় হাতেখড়ি।। তবে পেশাগত ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন লেখালেখি থেকে দূরে ছিলেন। মানুষের মনােজগৎ ও আধিভৌতিক। বিষয়গুলাে তাকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে আর তাই। তার লেখার মূল প্রতিপাদ্য অপার্থিব রােমাঞ্চ গল্প। রূপার। মাদুলি তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। তবে ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণেই এ বিষয়ে আরও লেখালেখি চলছে। গল্প ছাড়াও তিনি কবিতা এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিতভাবে পেশা সম্পর্কিত নিবন্ধ লিখে থাকেন।। উচ্চ মাধ্যমিকের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ।
ইতােমধ্যে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচচপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন। কর্মজীবনের বাইরে। শিক্ষকতা করতে ভালােবাসেন। নর্থ সাউথ ও আইএউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন লেকচারার হিসাবেও কাজ করেছেন। বই পড়া আর ভ্রমণ তার প্রধান শখ। পেশাগত কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রায় সকল উপজেলা ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী পরিচালক। হিসেবে কর্মরত আছেন। ব্যক্তিজীবনে স্ত্রী রুশদিনা খান, পুত্র ফারাজ রহমান এবং কন্যা জায়না রহমানকে নিয়ে তার ঘর-সংসার
শেষ করছি বইটি হতে উদ্ধৃত একটি লাইন দিয়ে যা আমার মনে গেথে আছে একদম,
“কথায় আছে, সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুটি কান আর একটা মুখ দিয়েছেন যাতে আমরা শুনি বেশি, কথা কম বলি”