প্রতিটা মার্ডার মিস্ট্রি Who and Why কে ঘিরে লেখা হয়। কে খুনি? এবং খুন করলো কেন?
এর বাইরে when আর How এর দেখা পাওয়া যায় কম। কখন খুন করলো এবং কীভাবে।
এই ‘কীভাবে খুন করল’ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কেইগো হিগাশিনোর দ্য ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স।
ইয়োশিতাকা মাশিদা একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। কিন্তু তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ডিভোর্স নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার আগেই খুন হয় তার। সন্দেহ জাগে তার স্ত্রী আয়ানে মাশিবার উপর। কিন্তু আয়ানে ছিল তার থেকে শত মাইল দূরে সেদিন। ডিটেকটিভ কুসানাগীর উপর কেসের দায়িত্ব পড়ে। কুসানাগী তদন্ত করে জানতে পারে আয়ানে নির্দোষ। তীর যায় এবার মাশিদার প্রেমিকার দিকে৷ উঠে আসে ইয়োশিতাকার অতীত। জুনিয়র ডিটেকটিভ কারও উতসুমি মনে করে খুনটা আয়ানে করে। বসের সাথে এ নিয়ে ঝামেলার জড়িয়ে পড়ে সে। অবশেষে বাধ্য হয়ে তারা যায় মানাবো ইয়োকোওয়ার কাছে৷ যে ডিটেকটিভ গ্যালিলিও নামে পরিচিত। গ্যালিলিও কি পারবে ইয়োশিতাকার খুনীকে ধরতে? জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে স্যালভেশন অফ দ্য সেইন্ট।
প্রতিক্রিয়া:
প্লট আপাতত অর্ডিনারী। কিন্তু গল্পের প্রেজেন্টেশন বেশ ভালো। সামনে যত যায়, গল্প তত কমপ্লেক্স হয়। সাথে চরিত্রদের ব্যাপ্তিও বৃদ্ধি পায়। তবে গল্পটা ন্যারেটিভ। তাই মাঝখানে এসে প্রবল বিরক্ত লাগে। স্কিপ করে যায় অনেক পৃষ্ঠা৷ শেষের পেইজগুলো বেশ দ্রূত টানে। বইয়ের ৫০% যাওয়ার পর আপনি জেনে যাবেন খুনী কে। কিন্তু শেষ অবধি পড়বেন জানার জন্য যে খুনটা কিভাবে করা হয়? অনুবাদ বেশ সাবলীল। প্রোডাকশন যেমন, এজ ইউজুয়াল।
বই- স্যালভেশন অফ দ্য সেইন্ট
লেখক-কেইগো হিগাশিনো
জনরা-মার্ডার মিস্ট্রি
অনুবাদ- সালমান হক
রেটিং -৪-৫
Leave a comment