বই-স্যালভেশন অফ দ্যা সেইন্ট
লেখক- কিয়েগো হিগাশিনো
অনুবাদক – সালমান হক
প্রকাশনা -বাতিঘর
পৃষ্ঠা-৩০৪
মূল্য -৩৫০
রেটিং -৩.৫/৫
পাঠ প্রতিক্রিয়া –
প্রথমে বলি কাহিনির কথা। কাহিনিটা অন এভারেজ। একজন খুন হলো, খুনী কে বের করতে ডিটেক্টিভদের হযবরল অবস্থা।
কিন্তু এই গল্পে ভিন্নতা আছে। সেটা হলো খুনের পদ্ধতি। খুনের পদ্ধতি জানতে ডিটেকটিভদের অবস্থা নাজেহাল। বাধ্য হয়ে যেতে হয় এক পদার্থবিদের কাছে। আর এই বিষয়টাই গল্পকে অনন্য করে দিয়েছে।
চরিত্রায়ন –
ভিক্টিমের স্ত্রী আয়ানে আর প্রেমিকা হিরোমি হলো মূল চরিত্র। ভালো লেগেছে তাদের চরিত্রায়নটা। পাশাপাশি ডিটেকটিভ উতসুমি আর কুসানাগিকেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে বড় করা হয়েছে। যদিও মাঝপথ দিয়ে শুরু, তাই গ্যালিলিও সম্পর্কে কিছু বললাম না।
লেখনশৈলী –
অনুবাদ ফার্স্ট ক্লাস। এতে আঙুল তোলার জায়গা নেই। কিন্তু বইটা অনেক মেদবহুল। আমার মনে হয় আরও পঞ্চাশ পৃষ্টা কম হলে ভালো হতো। অনেক জায়গায় অতিরিক্ত কথার জন্য বিরক্ত হয়ে গিয়েছি।
সমাপ্তি- ২৫০ পৃষ্ঠার পর পুরো গল্পের কাহিনি বুঝে গিয়েছিলাম। তেমন আহামরি লাগেনি। পাতা স্কিপ স্কিপ করতে যেতে যেতে শেষ অধ্যায় পড়ি। যা ভেবেছিলাম তাই।
ওভার অল, রেকোমেন্ড করবো না। তেমন ভালো ও লাগেনি। আবার তেমন খারাপ ও লাগেনি। চলনসই বলা চলে।
ব্লার্ব-(ফ্ল্যাপ থেকে)
স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার ঠিক আগে খুন হয়ে গেল ইয়োশিতাকা, বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে তাকে। সঙ্গত কারণেই তার স্ত্রী আয়ানে হয় প্রধান সন্দেহভাজন। কিন্তু সমস্যা একটাই–ইয়োশিতাকার মৃত্যুর সময় কয়েক শ’ মাইল দূরে অবস্থান করছিল সে। টোকিওর পুলিশ ডিটেক্টিভ কুসানাগির দৃঢ় বিশ্বাস, আয়ানে নির্দোষ। কিন্তু তার সহযোগি উতসুমি মনে করে এই হত্যাকাণ্ডে আয়ানে জড়িত। কেউই শক্ত কোনো প্রমাণ জোগাড় করতে পারে না। বাধ্য হয়েই ডিটেক্টিভ গ্যালিলিও হিসেবে পরিচিত এক প্রফেসরের শরণাপন্ন হয় উতসুমি। কিন্তু জটিল এই কেস প্রফেসরের ক্ষুরধার মস্তিষ্ককেও বিপদে ফেলে দেয়। রীতিমতো অসম্ভব মনে হতে থাকে এই হত্যাকাণ্ডটিকে। এমন ঠাণ্ডা মাথার খুনির নাগাল পাওয়া কি সম্ভব?
‘ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’খ্যাত জাপানি থৃলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর অসাধারণ কাজের সাথে পাঠক এরই মধ্যে পরিচিত। ‘স্যালভেশন অব আ সেইন্ট’ পড়ে তারা আরেকবার মুগ্ধ হবেন। বিস্মিত হবেন ডিটেক্টিভ গ্যালিলিওর বুদ্ধিদীপ্ত অনুসন্ধান দেখে।
Leave a comment