সাতকাহন
সমরেশ মজুমদার
বুক_রিভিউ
সাতকাহন! সম্ভববত বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য অনেক পরিচিত, জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। অসংখ্য রিভিউ আছে এ উপন্যাসকে ঘিরে। আমি অবশেষে শেষ করলাম এই উপন্যাস। অবশ্য এর মাঝে অনেক গুলো বই পড়া হয়েছে। মাঝে মাঝে ব্রেক নেয়া আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তো যাই হোক আসি উপন্যাস এ!
এক শক্তিশালী নারীর জীবনের পটভূমি এ উপন্যাস। যে জীবন সমতল নয়, বন্ধুর। প্রতিমুহূর্তেই যা বাঁক নেয়৷ দীপাবলির জীবন অত্যন্ত অনেক বেশি বন্ধুর হওয়ার কারণ হয়তো সে নিজেও। অন্যায় বা সহস্র শতাব্দী ধরে চলে আসা কিছু অযৌক্তিক নিয়ম হয়তো সে আত্মস্থ করতে পারেনি অন্যদের মতো তাই এ অনুযোগ। সে যাই হোক, এই উপন্যাস নিয়ে পরে আবার কখনো রিভিউ লিখবো, এতো ডিটেইলস এক পোস্টে একবারেই লেখা সম্ভব না। আমাকেও আরো কিছুদিন কসরত করতে হবে বৈকি! তবে বলতেই হয় এই যে, উপন্যাস যা মূলত দীপাবলির জীবনের উপখ্যান তা যে আমার সবটাই বোধগম্য হয়েছে এমনটা নয়। বলতে লজ্জা নেই, আই এস এ পাশ করার পর দীপাবলি যে আয়কর অফিসে যোগদান করে এবং সেখানকার যে অসংগতি তুলে ধরা হয়েছে তা বুঝলেও আয়কর অফিসের নানান ইস্যুগুলো আমার মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। সেসব আমি ক্ষনে ক্ষনেই বুঝে উঠতে পারিনি অনেকসময়।
উপন্যাসের শুধুটা অসাধারণ। তারপরের স্রোতপ্রবাহ পাঠকে আকড়ে ধরে রাখার অসীম ক্ষমতা রাখে। কিছু শেষটা! কোথায় যেন দীপাবলিকে আমার একটু বেশিই খুঁতখুতে লেগেছে। জীবনে সুখী হওয়ার চেষ্টা করাটা অন্যায় কিছু নয়। তারজন্য যদি একটু ছাড় দিতে হয়, একটু মানিয়ে চলতে হয়, মনে হয় না খুব বেশি ক্ষতি হয় তাতে। আমরা সব সময় উপরের দিকে না তাকিয়ে যদি একটু নীচের দিকে তাকিয়ে চলি তাহলে হয়তো জীবনে সুখী হওয়ার সংজ্ঞাটাও খুঁজে পেতে পারি। পথের ধারে অনেকেই ঘুমায় যারা গৃহহীন মানুষ। ঘর নেই বলেই ঘুমায়। সেখানে পথের সাথে বিদ্রোহ করে আদৌ কি কোনো লাভ আছে? না আছে সেখানে পথের দোষ না আছে ঘরের। মাঝে মাঝে একটু সহনশীল হয়ে মানিয়ে চলা বা পরিস্থিতিকে চ্যালেন্জ হিসেবে নিয়ে মোকাবিলা করাটাও হয়তো সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকপ একটা পরীক্ষা। যাই হেক, কেন এগুলে লিখলাম তাও জানি না। তবে মনে হচ্ছে, দীপাবলির মতো একজন ধৈর্য্যশীল নারী হয়তো ছোট ছোট অনেক প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে চলতে পারে। তেমনি পারে তাদেরকে জীবনের সাথে মানিয়ে নিয়ে ঠিক পথে আনতে।
Leave a comment