বই- শব্দযাত্রা লেখকসংঘ
লেখক- জুবায়ের আলম
প্রকাশনা- বুক স্ট্রিট
গল্পটা শুরু হয় বেশ মজার একটা ভূমিকা নিয়ে। ভূমিকাতে তুলে ধরেছেন, লেখকদের ব্যর্থতা আর কষ্ট। ভূমিকা যে মূল প্লটে বেশ ভূমিকা রেখেছে তা বইটা পড়ে বুঝলাম।
সুকান্ত, নিরীহ, ছাপোষা টাইপিস্ট আর কম্পোজার। কিন্তু এটা ছাড়াও তার আলাদা একটা পরিচয় আছে। সে একজন ঘোস্ট রাইটার। প্রুফ রিডার সুভাষের মাধ্যমে সে বই লিখে দেয় টাকার বিনিময়ে। হুট করে একটা কন্ট্রাক্ট পায়৷ কিন্তু যে কন্ট্রাক্ট দেয় সে নিহত হয়। এদিকে সিরিয়াল কিলিং হচ্ছে। কলম দিয়ে খুচিয়ে মারা হচ্ছে লেখক, প্রকাশকদের। কেস পড়ে ডিবির অফিসার আমানুল্লাহর টীমের উপর। সুকান্তকে সুভাষ দিয়ে যায় একটা এনক্রিপ্টেড পেনড্রাইভ। যার পিছনে পড়ে আছে খুনি, পুলিশসহ সবাই। ঘটনায় ফেসে সুকান্ত হন্য হয়ে ঘুরে বাঁচার জন্য। আমানুল্লাহ অস্থির, উপর থেকে চাপ পড়ে কেইস সমাধানের জন্য। খুনি ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুন করছে একের পর এক। তিনটা ঘটনা আলাদা হলেও এক সুতোই বাধা। কী সেটা জানতে হলে পড়তে হবে শব্দযাত্রা লেখক সংঘ।
প্রতিক্রিয়া –
বইটা নিয়ে অনেক এক্সপেকটেশন ছিল। তা পূরণ হয়নি। হতাশ হয়েছি কিঞ্চিৎ। লেখক গল্প তৈরি করেছেন ধাপে ধাপে। চরিত্রদের যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন হাত-পা মেলার জন্য। বর্ণনা ভালো, কিন্তু বাক্যের শেষে ক্রিয়াপদের রিপিটিশন বিরক্ত করেছে খানিক। খুটিনাটি ভালোই বর্ণনা দিয়েছে। বইটা গ্রিপিং বলব না। তবে ধীরেসুস্থে পড়ে হজম করার মত বই। প্লটটা বেশ ইউনিক। লেখকদের জীবন নিয়ে খুটিনাটি অনেক কিছুই উঠে এসেছে বইয়ে। ওভার অল বেশ ভালো বই।
তবে খটকা আছে কয়েকটা ব্যাপারে। যেমন ডিবির এজেন্ট হয় না। ওদের পদমর্যাদা পুলিশের মত। হাফ ছেড়ে বাঁচা না, হাফ ছাড়া। শেষে মেইন ভিলেইনের কোনো পরিণতি দেখানো হয়নি। সিকুয়েল আছে নাকি?
Leave a comment