শুরুর দিকে ওয়াফির ভাইদের আতরপ্রীতি এমন তুঙ্গে ছিলনা, এখন যেমন চারদিকে আতরের মৌ মৌ সৌরভ। কোত্থেকে যেন ওয়াফিতে একজন আতরপ্রেমী ভাইয়ের আগমণ। কাজের ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক আতরের আলোচনা আর ছোট্ট ছোট্ট স্নিফ। আস্তে আস্তে আতরের প্রতি সবার একটা ভালোলাগা জন্মে। শুরুতেই যেই আতরের ঘ্রাণ সবার মন কাড়ে তা ছিল ‘পোলো ব্লু’। অফিসের কোন কোণায় গেলে তাহার ঘ্রাণ পাওয়া যেতো না! স্টক রুম কিংবা কিচেন—সব জায়গায় পোলো ব্লু’র ছড়াছড়ি। এখনো ভাইয়েরা এই আতরের ঘ্রাণ পেলে নস্টালজিক হয়ে যান। যতদূর থেকেই আসুক, যতো অল্পই আসুক ভাইয়েরা বুঝতে পারেন আশেপাশেই পোলো ব্লু’র কোনো ধারক-বাহক আছেন।
.
আচ্ছা কী রকম ঘ্রাণ ‘তাহার’, যেকারণে ভাইয়েরা এতো পছন্দ করেন তাহাকে! আতরটা মাখালে প্রথম দিকে যে ঘ্রাণগুলো ঘুরে ফিরে নাকের কাছে আসবে তা একটু কড়াই মনে হবে। ম্যান্ডারিন অরেঞ্জ, পিংক পিপার আর এলাচের মিশ্রণ ঘটালে যেমন হবে, ঠিক তেমন ঘ্রাণ প্রথম দিকে। তারপর সময় গড়াতে গড়াতে ঘ্রাণটা হবে ভ্যাটিভার ঘাস, ক্লারি সেজ গুল্ম, ল্যাভেন্ডার আর জেসমিনের মিশ্রণে একেবারে ফুলেল। আর শেষদিকে পাচৌলি, ধুনো আর ওক কাঠের ঘ্রাণ মিশে থাকবে কাপড়ের সাথে।
.
মোটকথা আতরটা মাখার পর থেকে একটা ফ্রেশ আর এনার্জেটিক ফিলিংস আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে পুরো আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত! আর আপনার মনে হতে থাকবে ‘ আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম।’
.
লিংক কমেন্টে।
যে আতরের সাথে জড়িয়ে আছে ওয়াফিলাইফের ভাইদের অনেক টুকরো স্মৃতি!

Leave a comment