“চোখ নাকি মনের আয়না? আমার চোখে কী দেখা যায় বল তো? ভালো করে দেখ, তারপর বল, তাহলেই আমি বুঝব আমার কী হয়েছে।”
তুতুল এত জটিল তত্ত্ব কথা বুঝে না। তবে বড় হওয়ার পর থেকে তানিম ভদ্রতাসূচক দূরত্ব বজায় রেখেই চলে। তাই আজ হঠাৎ তানিমের এমন পাগলামিতে তার খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। বুকের ভেতর কেমন বাদলা দিনের মতো গুড়ুম গুড়ুম করে মেঘ ডাকাডাকি করছে। সে নিজেকে স্থির রেখে খুব সহজ ভাবেই বলল, “তোমার চোখে আমাকে দেখা যায়, তানিম ভাই।”
এই কথায় দুধর্ষ তানিম কেঁপে উঠল। তার মনের ভিত আমূল নড়ে উঠল মনে হয় প্রবল ভূমিকম্পে। সে কিছু মুহূর্ত চুপ করে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, “ভালো করে দেখ। আমার কী হয়েছে, আমার চোখে কী দেখতে পাস?”
তুতুল আরও গভীরভাবে তানিমের চোখের তারায় চেয়ে দেখল। তারপর খুব নিশ্চিত জোর দিয়ে বলল, “তোমার চোখের তারা জুড়ে শুধু আমিই আছি, তানিম ভাই। আর কিছুই নেই।”
তানিম কেমন বজ্রাহত হয়ে রইল। তারপর আচমকা ধাক্কা দিয়ে তুতুলকে সরিয়ে দিয়ে বলল, “তুই চলে যা পুতুল। তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যা।”
উপন্যাস: যাও পাখি বলো তারে
লেখিকা: আফিফা পারভীন
প্রকাশনী: ছাপাখানা
মূদ্রিত মূল্য: ৬২৫৳