গল্প কিংবা চরিত্রটি কাল্পনিক নয়, বরং বাস্তব…!
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক খুব বেশি বই পড়া হয়ে ওঠেনি আমার, তবে আনিসুল হক স্যারের “মা” বইটি আমার কাছে সব থেকে সেরাই মনে হয়েছে। যদি এককথায় বলতে হয় তবে বলবো বইটি ‘হৃদয়স্পর্শী’।
যতক্ষণ বইটি পড়েছি ততক্ষণ মনে হয়েছে আমি সেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ফিরে গিয়েছি। প্রতিটা বিষয় যেন নিজের চোখের দেখছি। “মা”য়েরা সব সময়ই সন্তানের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেন।তবে এই মা একজন শহীদ জননী।তার চেয়ে বড় আরেকটি পরিচয় হলো তার অনড় এবং অসাধারণ গুণাবলী। সব মায়েদেরই অসাধারণ গুণ থাকে তবে আজাদের মায়ের গুণ যেন অনন্য। আজাদ ভাত খেতে চেয়েছিল। ছেলে খেতে চাইলে কী আর মা না খাইয়ে বসে থাকতে পারে? কিন্তু মা ভাত নিয়ে যাওয়ার আগেই পাক হানাদারের হাতে শহীদ হয় আজাদ। মা আর তার সন্তানকে ভাত খাইয়ে দিতে পারেন নি। আর তাই আজাদের মা আর কোনোদিন ভাতই খাননি। কোনোদিন বিছানায় ঘুমাননি। তিনি কিভাবে ঘুমাবেন? তার প্রিয় আজাদ যে বিছানাতে নেই!
গল্পটা এই অসীম সাহসী এই মায়ের অমায়িক ব্যক্তিত্ব নিয়েই।
“মা” বইটির কথা পড়লে শরীরের প্রতিটি লোম দাড়িয়ে ওঠে।পরিপূরণ রোমহর্ষক। সত্যি বলতে কী, আজাদের মায়ের মত এমন অদম্য সংগ্রামী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোনো মানুষ দেখেছি বলে ঠিক মনে হয় না। সবচেয়ে বড় অবাক করা বিষয় হলো গল্পটা কাল্পনিক নয়,পরিপূর্ণ বাস্তব!
আনিসুল হক স্যার এই অসামান্য বাস্তব চরিত্রটাকে যেভাবে সুনিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাও বেশ অসাধারণ।
বইয়ের নামঃ মা।
লেখকঃ আনিসুল হক।
ধরনঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস।
প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশন ।
মুল্যঃ ৩৯৬ টাকা।