বইঃ ব্ল্যাক ফেয়ারি টেইল
লেখকঃ অৎসুইশি
অনুবাদকঃ সালমান হক
পৃষ্ঠাঃ ২২৪
বইটা শুরু হয় একটা ছোট গল্প দিয়ে..যেখানে আছে একটি কাক যার কিনা সিনেমা হলে জন্ম। ছোটবেলা থেকে সিনেমা দেখে দেখে সে মানুষের মতো কথা বলা শিখে ফেলে। মাঝেমাঝেই এভাবে কথা বলে সবাইকে চমকে দিতো সে। কিন্তু হঠাৎই এক অন্ধ মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় সে। মেয়েটিকে সে পৃথিবীর সব সৌন্দর্য দেখাতে চায়। কিন্তু সে একটা কাক হয়ে কিভাবে পারবে মেয়েটিকে সব দেখাতে! একটা বুদ্ধি খেলে গেলো তার মাথায়। মেয়েটির জন্য নিত্যনতুন চোখ চুরি করে আনতে লাগলো সে…যেই চোখগুলো কোটরে বসিয়ে মেয়েটি দেখলে লাগলো চোখের আসল মালিকদের সুন্দর সুন্দর স্মৃতি… কিন্তু তারপর?
এবার আসা যাক আসল গল্পে। গল্পের নায়িকা কিশোরী নামি। মেধাবী, অসাধারণ পিয়ানো বাদক, দুর্দান্ত খেলোয়াড় নামির জীবন খুব আনন্দেই কাটছিলো। কিন্তু বাঁধ সাধলো একটা দূর্ঘটনা..হারাতে হয় নামির বাম চোখটা। সেই সাথে হারিয়ে যায় তার আগের সব স্মৃতি। চটপটে নামি হয়ে যায় শান্ত, গম্ভীর। একদিন অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয় ওর চোখের৷ তার বাম চোখ প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের পর থেকেই সে তার বাম চোখে দেখতে পায় অদ্ভুত সব স্বপ্ন। কিছুদিন গেলে সে বুঝতে পারে এগুলো স্বপ্ন নয়,বরং চোখটির আসল মালিকের দেখা সব স্মৃতি। এই স্মৃতিগুলো দেখতে দেখতেই সে বুঝতে পারে চোখটির আসল মালিকের সাথে অপ্রত্যাশিত কিছু একটা হয়েছিলো। নামি নেমে পড়ে রহস্য উদঘাটনে। এভাবে সে জড়িয়ে যায় ভয়ংকর কিছুর সাথে.. জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।
ডার্ক ফ্যান্টাসি, থ্রিলার, মিস্ট্রির এক ভয়ানক মিশ্রণ এই ‘ব্ল্যাক ফেইরি টেইল’ বইটি। আর শেষে আছে অভাবনীয় টুইস্ট।
সালমানের হকের অনুবাদ সব সময়ের মতোই সাবলীল৷
যারা পড়েছেন জানাতে পারেন কেমন লেগেছে 🙂
রিভিউ লেখীকা: Muntaha mou