📌মূল শিরোনাম:প্রিয়তমেষু
📌লেখক:হুমায়ুন আহমেদ
📌বিষয়:ধর্ষণ, ধর্ষণের বিচার, ন্যায় বিচার
📌ধরন:উপন্যাস
📌মূল্য: ১৬০
📌প্রকাশিত:১৯৮৮
📌প্রকাশক: মওলা ব্রাদার্স, ৩৯ বাংলাবাজার, ঢাকা
প্রিয়তমেষু নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একটি সমকালীন উপন্যাস। মওলা ব্রাদার্স ১৯৮৮ সালে বইটি প্রকাশ করে। বইটির মূল উপজীব্য মধ্যবিত্ত সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীরা। বাঙালি সমাজে নারীদের নানারকম নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা তাদের নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে না যার ফলে অনেকক্ষেত্রেই তাদের পুনরায় নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়।
প্রিয়তমেষু এমনই একজন মেয়েকে নিয়ে যে ধর্ষণের শিকার হয় তবে সে ঘটনাটি প্রকাশ করে এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান করে। সে আইনের আশ্রয় নেয়।
নিশাত ও পুষ্প পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে। পুষ্পর ছেলে পল্টুর মাধ্যমে একদিন তাদের পরিচয় হয় এবং তা বন্ধুত্বে পরিবর্তিত হয়। পুষ্পকে নিশাত ছোট বোনের মতো ভালোবাসে। নিশাতের স্বামী জহির ভালো চাকরি করে। পুষ্পর স্বামী রকিব খুবই সাধারণ চাকরি করে। রকিবের বড়লোক বন্ধু মিজান প্রায়ই তাদের ফ্ল্যাটে আসে। তার ঘন ঘন বাসায় আসায় পুষ্প বিরক্ত ও ভীত। একদিন রকিবের অনুপস্থিতিতে সে ধর্ষণ করে পুষ্পকে। পুষ্প তার স্বামী রকিবকে তা জানালে সে আইনের আশ্রয় নিতে ভয় পায়। কিন্তু মিজানকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় পুষ্প। তার সাহায্যে এগিয়ে আসে নিশাত।
এই উপন্যাসের কিছু উক্তিসম্পাদনাঃ
কান্না হচ্ছে একটি খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার। (পৃষ্ঠাঃ ৫৮)
তুমি যখন হাস তখন দেখবে অনেকেই তোমার সঙ্গে হাসছে কিন্তু তুমি যখন কাঁদো তখন দেখবে কেউ তোমার সঙ্গে কাঁদছে না। (পৃষ্ঠাঃ ৫৮)
কিছু কিছু কল্পনা মিলে যায় আবার কিছু কিছু মিলে না। না মেলার কল্পনার সংখ্যায় বোধ হয় একজন মানুষের জীবনে অনেক বেশি। (পৃষ্ঠাঃ ২৫)
সৌন্দর্য হচ্ছে সবার জন্য – একজন পুরুষের জন্য নয়। (পৃষ্ঠাঃ ২২)
Leave a comment