ধরুন ‘ক’ এবং ‘খ’ নামক দুজন ব্যক্তির দুজনই শারীরিকভাবে সব দিক থেকে সুস্থ এবং তাদের শরীরের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা ঠিকঠাকমতো আছে। শুধু ব্যক্তি ‘ক’ এর চোখ দুটো অন্ধ। একদিন এই দুজন ব্যক্তিকে দুজন সুন্দরী নারীর সাথে বিবাহ দেয়া হলো।
এখন সহজ একটা প্রশ্নের উত্তর দিনতো দেখি, এই দুই ব্যক্তির মধ্যে কোন ব্যক্তিটি তার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তুলনামূলকভাবে বেশি সুখ এবং শান্তি পাবে?
সহজ উত্তরটা হবে ব্যক্তি ‘খ’। কারণটা নিশ্চয়ই আর ভেঙে বোঝাতে হবে না। চাইলে আলোচনার এই পর্যায়েই কথা শেষ করে দেয়া যায় শুধু এই বলে যে, “বুঝেছেন নারীদেরকে পর্দা করে ঘরের বাহিরে বের হতে হয় কেন?”
কোনো একটা জিনিসকে শতভাগ উপভোগ করার জন্য মানুষের শরীরের পাঁচটা ইন্দ্রিয়ের প্রতিটা থাকা আবশ্যক। সেই হিসেবে ব্যক্তি ‘খ’ তার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় স্ত্রীর সৌন্দর্য চোখে দেখতে পারছে বলে সে যতটা শারীরিক সুখ পাবে, স্বামী ‘ক’ -এর চোখ অন্ধ থাকার কারণে সে কিন্তু ব্যক্তি ‘খ’ -এর সুখের ধারে কাছেও যেতে পারবে না। কারণ চোখে কোনো কিছু দেখতে না পারার অনুভূতির বিকল্প কোনো অনুভূতি মানুষের নেই। অর্থাৎ তৃপ্তির সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করে শতভাগ যৌনক্ষুধা নিবারণ করার জন্য শরীরের পাঁচটা ইন্দ্রিয়ই ব্যবহৃত হতে হবে।
সুতরাং, চোখ দিয়ে দেখাটাও যৌন ক্রিয়ার একটা অংশ। শুধু অংশ বললে ভুল হবে, বরং অন্যতম প্রধান অংশ। একটা প্রবাদ বাক্য মনে পরে গেল–’ঘ্রাণেই অর্ধ ভক্ষণ, দর্শনেই অর্ধ সংগম।’
বই : নারীবাদী বনাম নারীবাঁদি
লেখক : Karim Shawon
প্রকাশনী : ফেরা প্রকাশন