বই: দ্যা স্টেট অভ গড
লেখক: আব্দুল কাইয়ুম আহমেদ
প্রকাশনি: দারুল ইলম।
…আমি আগেও উল্লেখ করেছি, মিস্টার ফোর্ডের লেখা থেকেও প্রমাণিত হয় যে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, বেলফোর ঘোষণা- এসবই ইহুদিদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আশ্চর্যজনকভাবে ইহুদিরা পৃথিবীর অন্যসব জাতির থেকে খুব বেশিরকম মেধাবী। তারা সংখ্যায় নয়, মেধায় বিশ্বাস করে। সেজন্যই ইহুদি ধর্মে প্রচারের জন্য তাদের কোন প্রচেষ্টাই নেই। স্বার্থের প্রয়োজনে বরং তারা লাখ লাখ স্বজাতিকে বিভিন্ন সময়ে হত্যা করেছে নির্দিধায়। হাজার বছর ধরে, বংশপরম্পরায় লালিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইতিহাস আমাদের চোখের সামনেই। তাদের এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফলাফলই আজকের ইসরাইল। তারা আরবের বুকে বিষফোড়া হয়েই শেষ পর্যন্ত নিজেদের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে।
কিন্তু শুধু একটুকরো নিজস্ব ভূমির জন্যই কি ইহুদিরা মধ্যপ্রাচ্যকে এমন কসাইখানা বানিয়ে রেখেছে? তাহলে তো বিশাল বিশ্বের বহু উর্বর ভূমি পড়ে আছে, সেখানেই তারা বসতি স্থাপন করতে পারতো। গত শতাব্দীর শুরুতেই প্রায় ৩৪ টা সাম্ভাব্য স্থান তাদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারমধ্যে আফ্রিকার দেশ উগান্ডাকে ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য মেনে নিয়েছিলেন খোদ ইহুদি রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা থিউডোর হার্জেল। এরপরও পৃথিবীর সংঘাতের কেন্দ্র, আরবদেশ ঘেরা মরুপ্রান্তরেই কেন আসতে হলো?
তাহলে কি ধর্মে বলা প্রতিশ্রুত ভূমি রক্ষার্থেই তারা শেষ পর্যন্ত বিরান মরুপ্রান্তরকে আঁকড়ে ধরেছে? ধর্ম রক্ষার্থেই কি এত খুন, গুম, যুদ্ধ? ধর্ম রক্ষার্থেই কি এভাবে মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্ত করে তোলা?
আসলে ধর্ম রক্ষার ব্যাপারটাও একটা ধাপ্পাবাজি। আমরা ইতিহাস থেকেই জানি, ইহুদি জাতির প্রায় চার হাজার বছরের ইতিহাসে তারা শুধুই আল্লাহর বিরোধিতা করেছে। আল্লাহর অবাধ্যতা ছিল তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ইহুদিরা যুগে যুগে তাদের গোত্রীয় নবী-রাসূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এবং হত্যাপ্রচেষ্টা করেছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে, ইহুদিরা ৩০০ জন নবীকে হত্যা করেছে (ইবনে কাসির প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-১০৯)। আল্লাহর নবী-রাসূলদেরকে ইহুদি জাতি ছাড়া অন্য কোনো জাতি হত্যা করেনি। তারা হজরত জাকারিয়া ও তদীয়পুত্র হজরত ইয়াহিয়া আ:কে হত্যা করেছে এবং হজরত ইলিয়াস আ:কে হত্যার চেষ্টা করেছে। হজরত মরিয়ম আ:কে ব্যভিচারের অভিযোগ দিয়েছে এবং হজরত ঈসা আ:কে হত্যা করার জন্য ‘তায়তালানুস’ নামক এক পাপিষ্ঠকে পাঠিয়েছে। সেই মিশর থেকে বের হয়ে আসার সময় থেকেই তারা বারবার বিদ্রোহ করেছে। অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। বাইবেল বিকৃত করেছে। এমনকি, তাবুতে সাকিনা যা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন আল্লাহর বিশেষ রহমত হিসেবে দেওয়া হয়েছিল, সেই তাবুতে সাকিনাও তারা অবহেলায় হারিয়ে ফেলেছে।…
আরও জানতে পড়ুন বিশিষ্ট তরুণ লেখক Kayum Ahmed এর প্রকাশিতব্য দ্বিতীয় বই ‘দ্যা স্টেট অভ গড’।
দারুল ইলম প্রকাশনী থেকে আসতে যাচ্ছে বইটি।
Leave a comment