তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব ১৯৪৭-১৯৭১ PDF Download – ডঃ ফজলুর রহমান

আমার গবেষণার বিষয় ছিল মূলত ১৯৪৭ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ( বাংলাদেশ ) মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা , যা দু’দেশের কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে নির্ণিত হয়নি । বিশেষ কারণে আমি মূল পরিকল্পনা পরিহার করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ( বাংলাদেশ ) বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিরাজমান পারস্পরিক বিরোধকে বুঝার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠি ।

Image
যে প্রশ্নে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো , তা হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা কোন সংস্কৃতির অনুসারী হবে- ঐতিহাসিকভাবে নির্ধারিত আঞ্চলিক সংস্কৃতির নাকি পাকিস্তানের ধারণা থেকে সৃষ্ট নয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতির ? সংস্কৃতি ও রাজনীতি পরস্পর পরিপূরক এটা সার্বজনীন সত্য । একটি সম্পর্কে জানতে হলে অপরটিকে বিশদভাবে জানতে হবে । তাছাড়া সংস্কৃতি ও রাজনীতির মৌলিক প্রবণতা গঠনে ধর্মও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে । 
এই সত্যকে সামনে রেখে আমি মূল বিষয়ের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং গবেষণার প্রকৃত বিষয়বস্তু ঠিক করি । গবেষণার বিভিন্ন সহায়ক উপাদানসমূহের উপর ব্যাপক অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হই । আমার ধারণা , চলমান সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে রাজনীতি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে । এ জন্য দু’বাংলার অভিন্ন সংস্কৃতির প্রকৃত চিত্র কি তা নিরপেক্ষ মতামতের ভিত্তিতে তুলে ধরার মাধ্যমে সংস্কৃতির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অস্তিত্ব তুলে ধরার চেষ্টা অসার বলে মনে হয়েছে । কেননা এ ক্ষেত্রে প্রকৃত সাংস্কৃতিক সত্তাকে তুলে ধরতে অনেক বেশী সময় লাগবে । 
তাই এই গবেষণায় আমি রাজনৈতিক দিকটা যতটা সম্ভব পরিহার করে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের উপর আমার আলোচনা নিবদ্ধ রাখি যাতে গবেষকরা প্রকৃত সমস্যা ও সমাধান সঠিকভাবে নিরূপন ও তার গভীরে পৌঁছতে পারেন । তাছাড়া পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংস্কৃতি ধর্মীয় অনুভূতিতে আটকে পড়ে ফলে তা মূলধারা থেকে দূরে সরে যায় এবং প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে ফেলে । সংস্কৃতিতে ধর্মীয় প্রবণতা এত প্রবল ছিল যে তা সংস্কৃতির মূল বিষয়বস্তুতে ভাঙ্গন ধরিয়ে দেয় । এই ভাঙ্গনের সংস্কার এখনো হয়নি এবং ভাঙ্গনকে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গভাবে সংস্কার না করা হলে কোন রাজনৈতিক মতামত দেয়া বা গবেষণা করা আদৌ সম্ভব নয় । 
গবেষণা কাজকে পূর্ণাঙ্গ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য – প্রমাণ , নির্ভরযোগ্য দলিলপত্র এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত তথ্য কেন্দ্রসমূহে সংরক্ষিত পত্র – পত্রিকার ফাইল ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়েছি । মূল ইংরেজী অভিসন্দর্ভটি ১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় । অনুবাদ সংস্করণটি বর্তমানে প্রকাশিত হল । প্রকল্প পরিচালক নির্বাচিত বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবায়ন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা ভবন সেগুনবাগিচা , ঢাকা । ফোনঃ অফিস ৯৫৫ ৩৯৬৫ বাসা- ৯৩৩৫৭৭৩ জুন , ১৯৯৮ / জ্যৈষ্ঠ ১৪০৫ বাংলা ফজলুর রহমান।
Download From Google Drive
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?