প্যারালাল ইউনিভার্সের ধারণায় একজন মানুষের একাধিক অস্তিত্ব থাকতে পারে। যেমন ধরুন, যেই মানুষটা এই বিশ্বে একজন নিভৃতচারী কবি, অন্য বিশ্বে সে-ই একজন সাধারণ মফস্সলি যুবক। এক বিশ্বে সে করে পাপ, অন্য বিশ্বে সে ঘুরে বেড়ায় মৃত হিসেবে।
আচ্ছা, প্যারালালের কচকচানি বাদ, আপনি চিন্তা করুন এমন এক আর্টিস্টের কথা, যিনি একদিন অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন—যার ছবিই তিনি একটা বিশেষ খাতায় আঁকেন, সে-ই সুইসাইড করে মরে যায়।
কিংবা আপনি চিন্তা করতে পারেন দুর্দান্ত ছবি আঁকতে পারা এক তরুণীর কথা, যার আঁকা একটা বিড়াল এক লাফে ছবি থেকে বেরিয়ে এসে বলে উঠতে পারে, ‘হ্যালো, ইটস আ বিউটিফুল ডে!’
অদ্ভুত কিংবা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী এই মানুষগুলোর মধ্যে একটা সাধারণ যোগসূত্র আছে। এরা সবাই-ই হয়তো এক, আবার এরা হয়তো আসলে কেউই না, এদের কারোরই কোনো এক্সিস্টেন্স নেই আনিসের এই সাধারণ পৃথিবীতে।
আনিস এমন একজন মানুষ, যাকে মায়া করার মতো একজনই আছে এই পৃথিবীতে—মিস্টার টম।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো বিড়াল কি সত্যিই পারে পেইন্টিং থেকে বেরিয়ে আসতে?
জগতে এসব কিছুই ঘটে না।
কিন্তু আসলেই কি তা-ই? ঘটে না?
তাহলে বিজ্ঞানীরা প্যারালাল ইউনিভার্সের কথা বলছেন কেন? কোয়ান্টাম মেকানিকস কেন অদ্ভুত অদ্ভুত তথ্য আমাদের সামনে ছুড়ে দিচ্ছে?
শ্রোডিঞ্জারের বিড়ালের কথা কি আপনাদের মনে আছে, যে একই সাথে থাকে জীবিত অথবা মৃত?
মিস্টার টমই হয়তো সেই শ্রোডিঞ্জারের সেই বিড়াল। পার্থক্য একটাই— বিজ্ঞানীর বিড়াল চুপচাপ, সাত-চড়েও তার রা নেই; আর আমাদের মিস্টার টম ভাবুক, সে আনিসকে মায়াভরা কণ্ঠে ডাক দিয়ে বলে, ‘আনিস ভাই, কেমন আছেন আপনি?’
মি.টমের সম্পর্কে জানতে পড়তে হবে
খণ্ড খণ্ড ৎ
এবং ৎ কিংবা তার পরের কথা
পেন্ডুলামের নতুন বই
দুটো বই এক মলাটে দাম- ৩৬০টাকা
Leave a comment