- বই : কারাগার
লেখক : মাহাদী হাসান
ক্যাটাগরি : থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য : ১৬০ টাকা
বাইরে ভোরের আলো ফুটেছে। রতনপুর কারাগারের পুকুরে জাল ফেলা হচ্ছে। এতো সকালে পুকুরে জাল ফেলা হচ্ছে কেন কেউ বুঝতে পারছে না। উৎসুক পুলিশ সদস্য ও কয়েদিরা ভিড় করেছে পুকুরের পাড়ে। জালে হঠাৎ ভারী কিছু আটকেছে। জেলার হাফিজ ঘামছেন, তার চোেখ মুখে উৎকণ্ঠা। জাল যতোই ওপরের দিকে উঠছে, তার উৎকণ্ঠা ততো বাড়ছে। জাল পাড়ে তোলার আগেই ভেতরে কয়েদি সালামতের লাশ দেখা গেল।
পৃথিবী এক আজব জায়গা। মিথ্যে বলার অপরাধে কারো মৃত্যুদন্ড হয়েছে এমন ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। কিন্তু সত্য বলার দায়ে যুগে যুগে কালে কালে পৃথিবীতে বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। সম্ভবত সত্য সাক্ষী দিতে চাওয়ার কারণেই সালামতের প্রাণ গেল।
সাপের দেহে জ্যাকবস অর্গান* (Jacobs organ) নামে এক ধরনের গন্ধ অনুসন্ধানী অঙ্গ থাকে যার সাহায্যে সাপ বাতাসে থাকা নানা ধরনের গন্ধ আলাদা করতে পারে। আশেপাশে কোথাও কার্বলিক এসিড থাকলে এই জ্যাকবস অর্গানের মাধ্যমেই সাপ বিপদের গন্ধ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মানুষের শরীরে জ্যাকবস অর্গান নেই। তারপরও মানুষ বিপদ টের পায়। যার মাধ্যমে পায় তার নাম ৬ষ্ঠ ইন্দ্রীয়। হাফিজের ৬ষ্ঠ ইন্দ্রীযও বলছে তার সামনে ঘোরতর বিপদ। কিন্তু তার পালিয়ে যাবার জায়গা নেই।
আচ্ছা, মানুষ ছাড়া আরো কোন প্রাণীর কি ৬ষ্ঠ ইন্দ্রীয় আছে? আছে হয়তো। পাখিরা তাদের মৃত্যুর আগে টের পায়। মৃত্যুর আগে তারা লোকালয় থেকে নির্জন জায়গায় স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যায়। মানুষও কি তার মৃত্যুর আগমন টের পায়??
#বই থেকে কিছু অংশ
Leave a comment