🔵 বইয়ের নামঃ কহশিমিয়ান আগমন।
🟡 লেখকঃ নেওয়াজ নাবিদ।
🔵 জনরাঃ অতিপ্রাকৃত,থ্রিলার।
🟡 প্রচ্ছদঃ লর্ড জুলিয়ান।
🔵 পৃষ্ঠাঃ ৩১৯।
🟡 প্রকাশকালঃ মার্চ ২০২২।
🔵 প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী।
🟡 মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৮০/-
🔵 পার্সোনাল রেটিংঃ ৪/৫
🔸 ফ্ল্যাপ থেকে-
যুথির অন্তর্ধানের পর কেটে গেছে সাত বছর। নতুন করে বিপত্তি দেখা দিয়েছে সাইফুদ্দিনের জীবনে। স্বপ্নে এসে হানা দিচ্ছে মৃত বন্ধু মাহাবুব।
পৃথিবীর আরেক প্রান্তে থাকা নুরিয়ার বিচিত্র ক্ষমতার উৎস কী? সামুদ্রিক সিগ্যাল, সিল মাছ আর আলো জ্বলা মৃত্যুহীন ব্যাঙ আক্রমণ করলো সাইপ্রাস, রুক, উইল আর নুরিয়ার উপর। বেঁচে ফিরবে কীভাবে?
অয়নের ক্ষমতা জনসম্মুখে চলে আসায় আত্মগোপনে চলে যেতে হলো তাকে। যাদের ভয়ে এই আত্মগোপন, তারা এত সহজে ছেড়ে দেবে?
সাইফুদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে কিসের সাথে জড়িয়ে পড়েছে নাশফিন আর নুসফা?
বিখ্যাত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার সবুক্তগীনের সাথে যুথির সম্পর্ক কী?
একটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে সৃষ্টি হচ্ছে আরো হাজারটা প্রশ্ন। কীভাবে সমাধান হবে এই অদ্ভূত পরিস্থিতির?
🔹 বই সম্পর্মেঃ সাইফুদ্দিন।যে কিনা ঝামেলা পছন্দ করত না সে নিজেই তার জীবন ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে।আসলেও কি সে নিজে করেছে? ঝামেলা বিহীন জীবন যার কাম্য সে কেনো ঝামেলা কে আপন করে নিবে? তার জীবনের করা সেই ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে তার আশেপাশের সবাইকে।যেই এই কাহিনীর সাথে জড়াচ্ছে তার জীবনই মৃত্যুর মুখে চলে যাচ্ছে।নানান ঘটনা প্রমাণ করে দিলো কহশিমিয়ানের আগমন হতে চলেছে। কহশিমিয়ানের আগমন হবে।কিন্তু কিভাবে হলো তার সৃষ্টি? কে সে? নাশফিন আর নুসফা কি পারবে সাইফুদ্দিন কে বাঁচাতে নাকি তারা নিজেদের জীবনে ডেকে আনছে? অয়ন আর নুরিয়া তাদেরই বা কি হবে? কি করতে পারবে তারা? সত্তার প্রদত্ত ক্ষমতা দিয়ে কি তারা সত্তার বিরুদ্ধে লড়তে পারবে? একটা প্রশ্ন থেকে সৃষ্টি হচ্ছে হাজারো প্রশ্ন।কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলছে কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।আরো প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে পরের বইয়ের জন্য।
🔸 পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ মাথা গুলায় যাওয়ার মত একটা বই।অনেকগুলা কন্সেপ্ট অনেকগুলা মানুষের ভিন্ন জীবন।কিন্তু একজায়গায় এসে ঠিকই মিলে গেছে।সবাই সবাইকে না চিনলেও তারা একই সূত্রে গাঁথা।বইটা ইন্টারেস্টিং। অ্যাডভেঞ্চার,থ্রিলার,অতিপ্রাকৃত সব কিছুর মিশ্রণ এই বই, কিন্তু জনরার মধ্যে ফেলতে হলে আমি বলব এটা অতিপ্রাকৃত।পড়তে বেশ ভালোই লেগেছে কিন্তু শেষটা হতাশাজনক ছিলো।তাই এর পরের পার্টের জন্য খুব বাজে ভাবে অপেক্ষা করছি।
🔹 পজেটিভ সাইডঃ বইটা খুব সুন্দর করে ভাগ করা।ভাগ করা বলতে যার যার গল্প অনুযায়ী মেনশন করা আছে যর কারণে পড়ার সময় গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই যেহুত অনেকজনের গল্প একসাথে চালানো হয়েছে।
🔸 নেগেটিভ সাইডঃ একটা নেগেটিভ সাইড যেটা চোখে পরেছে সেটা হলো কিছু জায়গায় নামের উলটপালট আছে।এক চরিত্রের জায়গায় অন্য চরিত্রের নাম দেওয়া।যেটা আপনি একটা ফ্লো নিয়ে পড়তে থাকলে,ফ্লো টা নষ্ট করে দিতে পারে।যদিও এটা শুধু দুই জায়গায় চোখে পরেছে।তাও একটু বেখাপ্পা লেগেছে।
🔹 পছন্দের বাক্যঃ পছন্দের বাক্য কি।এই বাক্য গুলা কয়কবার পড়েছি।খুবই সাধারণ দুইটা বাক্য কিন্তু কয়েকবার পড়তে ইচ্ছা করেছিলো।
⚜️ “জীবন কি কখনো আমাদেরকে সুস্থির হতে দেয়?”
⚜️ “কি অদ্ভুত! কতগুলো বই পড়া অসম্পূর্ণ রেখে লোকটা মারা গেছেন।
আর কখনো কি এই বই গুলো পড়ার ইচ্ছা তার পূরণ হব?”
🔸 ব্যক্তিগত মতামতঃ যারা অতিপ্রাকৃত গল্প পড়তে পছন্দ করেন।তারা পড়ে দেখতে পারেন।ভালো লাগবে পড়ে। শুধু অতিপ্রাকৃত এমন না যারা থ্রিলার,রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার বই পড়তে পছন্দ করেন তারাও পড়ে দেখতে পারেন।
[বি.দ্র.- এটি সম্পূর্ণ আমার মতামতে লেখা একটি রিভিউ।আশা করি ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]💙 হ্যাপি রিডিং 💛
Leave a comment