বুক_রিভিউ
বই- আর্দশ হিন্দু হোটেল
দাম-মনে নেই😓
লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যােপাধ্যায়
সংগ্রহ – নীলক্ষেত
আচ্ছা মনে মনে কথা বলার সিস্টেম যদি না থাকতো তাহলে বোধহয় আমরা বেশির ভাগ মানুষ মরেই যেতাম।এই পুরো গল্পটি সেই পুরোনো সময়ের একজন গরীব রাধুনি বামুন ঠাকুরকে ঘিরে।তার রান্নার বাহারি বর্ণনা আর দেশজুড়ে খ্যাতি অর্জনের পিছনের পরিশ্রম নিয়েই এই গল্প।অন্যের হোটেলে কাজ করলেও মনের ভিতর নিজের যে স্বপ্ন লালন করে গিয়েছেন দিনের পর দিন এবং প্রতিটি মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।তুমি যদি স্বপ্ন দেখো আকাশ ছোঁবে তাহলে হয়তো তুমি গাছের উচ্চতায় একদিন পৌছবে।
কাহিনী সংক্ষেপণ –
হাজারি ঠাকুর, একজন মধ্যবয়সী বাঙালি ব্রাহ্মণ, উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র। পেশায় তিনি রাঁধুনী, রানাঘাট স্টেশনের রেল বাজারে বেচু চক্রবর্তীর ছোট খাবার হোটেলে কাজ করেন। হোটেলের বিক্রেতারা প্রায়শই প্রতারণা করত, বিশেষ করে হোটেলের ঝি পদ্ম অহরহ হোটেলের খাবার চুরি করত। হাজারি ঠাকুর এগুলোর বিপক্ষে হলেও কেবল রাঁধুনী হওয়ায় তাঁর কিছু বলার অধিকার ছিল না । তাছাড়া পদ্ম ঝি তাঁকে সুযোগ পেলেই উপহাস ও অপমান করত। ফলে হাজারি ঠাকুর তাঁর নিজের হোটেল চালু করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
ঘটনাক্রমে একদিন হোটেলের বাসন চুরি হয়ে যায় এবং পুলিশ নির্দোষ হাজারি ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করে। একইসাথে তাঁর চাকরিও চলে যায়।
চোরের অপবাদ ঘাড়ে হতোদ্যম হাজারি ঠাকুর বেরিয়ে পড়েন ভাগ্যান্বেষণের আশায়। তবে তাঁর মনে অটুট থাকে নিজের একটি হোটেল খোলার স্বপ্ন। নতুন করে শুরু হয় হাজারি ঠাকুরের জীবনসংগ্রাম।
বহুদেশ ঘুরে অভিজ্ঞ হাজারি ঠাকুর নিজের মেয়ের মতন ঘোষ গোয়ালিনী কুসুম, গ্রামের অবস্থাপন্ন হরিচরণবাবুর মেয়ে অতসী এবং একজন অপরিচিত গৃহবধূর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অবশেষে নিজের হোটেল খুলতে সক্ষম হন। এখানে তিনি তাঁর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে যোগ করেন নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রম। ফলে সামান্য সময়ের মধ্যেই তার হোটেলটি এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় হোটেলে পরিণত হয়।
উপন্যাসের শেষে হাজারি ঠাকুরের জনপ্রিয়তা রানাঘাট থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বোম্বাইয়ের বিশাল হোটেল পরিচালনার জন্য ডাক পড়ে তাঁর। হাজারি ঠাকুর রওনা দেন বোম্বাইয়ের পথে, পেছনে পড়ে থাকে তার সংগ্রাম মুখর দিনগুলো।
ভীষণ মজার একটি গল্প।
Leave a comment