আমার তুমি
সাবিকুন নাহার অন্তু
মধ্যরাতে নানাবিধ চিন্তার শেষে, বিছানার চাদরে গড়াগড়ি খাই ঘুমের রেশে,
বৃষ্টির ঝিরিঝিরি ফোঁটা ভোরবেলা এসে, তন্দ্রাচ্ছন্ন শরীরে যায় মিশে।
হঠাৎ জেগে উঠি আচমকা কারও স্পর্শে, চোখে মুখে যখন জলস্রোত এর ধারা এসে বর্ষে,
জানালার কাঁচে জলের তীব্রতার অাঘাত ধ্বসে, হঠাৎ ঘুম ভেঙে চোখে দেখি সর্ষে।
থাই গ্লাসে জমে জলকণার কুয়াশা, কল্পনায় আসে কারও চোখ ভাসা ভাসা,
চোখ বন্ধ করে ভাবি নিয়ে বুক ভরা আশা, অভিযোগ জমে, কেন মনকুঠুরিতে বেঁধেছো বাসা?
চোখ খুলে দেখি শুন্যতার দীর্ঘশ্বাস, তবু মন ভালো হয়ে যায় দেখে ভোরের আভাস।
ভোরের বৃষ্টি অংশুমালীকে করে সৌন্দর্যরাণী, জলের ফোঁটা যেন স্নিগ্ধ সুরের রাগিনী।
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি শেষে অরূণপ্রভা করে দেয় অন্ধ,
আলোকিত সকাল কি জমে যদি না থাকে রবি ঠাকুরের কবিতার ছন্দ।
সিক্ত ভালবাসায় হৃদয় উপকূল ভেসে যায়, দেখা দাও জলপরী হয়ে,
বন্ধ হয়ে যায় হৃদয় প্রকোষ্ঠের সব রন্ধ্র।
ভলান্টিয়ার কন্টেন্ট রাইটার
রাইটার্স ক্লাব বিডি